হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরায়েলের প্রায় ৫ হাজার ২০০ সেনা তীব্র মানসিক সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে দেশটির যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসন বিভাগে ১২ হাজার সেনা চিকিৎসা নিতে যায়; এর মধ্যে রয়েছে মানসিক সমস্যায় ভোগা সেনারাও।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ৫ হাজার ২০০ জন সেনা পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার সমস্যা নিয়ে পুনর্বাসন কেন্দ্রে গিয়েছেন, যা চিকিৎসা নেওয়া মোট সেনার ৪৩ শতাংশ। খবর জেরুজালেম পোস্টের।
অপরদিকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে থাকা ১৪ শতাংশ সেনা মাঝারি থেকে গুরুতর আহতাবস্থায় সেখানে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে মাথায় আঘাত পেয়েছেন ২৩ জন, অঙ্গহানি হয়েছে ৬০ জনের এবং চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন ১২ সেনা। পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসা নেওয়া ১২ হাজারের মধ্যে ৬৬ শতাংশই রিজার্ভ সেনা।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চিকিৎসা নেওয়া সেনাদের মধ্যে প্রায় ১৫০০ জন একাধিকবার পুনর্বাসন কেন্দ্রে গিয়েছেন। অর্থাৎ তারা একবার চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছিলেন। আবার যুদ্ধে গিয়ে আহত বা মানসিক সমস্যা নিয়ে পুনর্বাসন কেন্দ্রে নাম লিখিয়েছেন। এই পুনর্বাসন কেন্দ্রটিতে ৬২ হাজার সেনাকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
জেরুজালেম পোস্টের প্রকাশিত তথ্যমতে, গাজা ও লেবাননে চলমান যুদ্ধে ইহুদিবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল অন্ততপক্ষে ৬২ হাজার সেনা শারীরিক ও মানসিকভাবে আহত হয়ে চিকিৎসা নেয়ার কথা উল্লেখ করলেও বরাবরের মতই নিহত সেনার সংখ্যার তথ্য গোপন করেছে।
মানসিকভাবে অসুস্থ সেনার সংখ্যা থেকেও এটা স্পষ্ট যে, তারা গাজা ও লেবাননের মানুষের ওপর ইহুদিবাদী সরকারের নির্দেশে এমন ভয়াবহ ও বর্বর হত্যাকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে যে তারা নিজেরাও তা সহ্য করার সামর্থ হারিয়েছে।